, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


জামানত হারিয়েও দক্ষিনখান আমানত চায় আ.লীগের দুই নেতা

  • আপলোড সময় : ০১-০৬-২০২৩ ০৯:০৯:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০৬-২০২৩ ০৯:০৯:২৬ অপরাহ্ন
জামানত হারিয়েও দক্ষিনখান আমানত চায় আ.লীগের দুই নেতা
রাজধানী ঢাকার অন্যতম সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮ এর ভোট ব্যাংক খ্যাত দক্ষিনখান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগাতে চায় সিটি নির্বাচনে জামানত হারানো দুই নেতা। একাধিক স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনায়ন পেয়েও বারবার জামানত হারিয়েছেন তারা।

দীর্ঘদিন দলীয় পদ বহনকারি পনু-মিঠুর এলাকায় জনসমর্থন নাই বললেই চলে। নাম মাত্র সমর্থনে করেছেন দুই দুইটি স্থানীয় নির্বাচন। নিজেদের অপকর্মের দায়ে ভোটের মাঠে জামানত হারিয়েছেন দক্ষিনখান থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মাসুদুজ্জামান মিঠু ও সাবেক ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা সফিউদ্দিন মোল্লা পনু। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র প্রতিবেদককে জানায়, পনু মোল্লা ও মিঠু দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে থাকায় ২০১৯ এ ডিএনসিসি উপ নির্বাচন ও ২০এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উনাদের দল থেকে মনোনায়ন পেলেও জনপ্রিয়তা না থাকা এবং অপকর্মের কারণে ব্যপর্ক ভাবে পরাজিত হয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। এখন আবার থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদই বাগাতে চাইছেন তারা।

পদ বাগাতে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে চালিয়ে যাচ্ছেন দৌড়ঝাঁপ। দল তাদের কাঙ্খিত পদে বহাল রাখলে সামনে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগিদের দলের পাশে না পাওয়ার শংকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সূত্র গুলো।

মো. শফিউদ্দিন মোল্লা পনু বলেন, আমাকে ঠেকানোর জন্য স্বার্থানেষী কিছু মহল বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন পদ থেকে হটানোর লক্ষ্যে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দিয়ে আসছেন বিভিন্ন দপ্তরে। আর সম্প্রতি আরেকটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি ডিএমপির সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়াদুদুর রহমান খান আমার সম্নন্ধী যা পুরোই মিথ্যাচার। তার কোনমামলা-হামলার খরচ আমি কখনো চালাইনি। একাধিকবার জামানত বাজেয়াপ্তের বিষয়টিও পুরোপুরি ভিত্তিহীন তথ্য। 

অন্যদিকে দলীয় পদ পদবি থেকে বরখাস্ত চেয়ে একেএম মাসুদুজ্জামান মিঠুর বিরুদ্ধে দলীয় থানা কার্যকরি কমিটির ৭১ জনের ৪৯ জন আওয়ামী লীগ নেতা অনাস্থা দিয়ে নগর কমিটির কাছে আবেদন করেছেন গত ২০ জুলাই ২০২০ সালে। সেখানে মাসুদুজ্জান মিঠুর বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি ও পদ বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ আনেন  স্বাক্ষরিত সকল স্থানীয় নেতারা। এত অভিযোগ থাকা সত্যেও বহাল তবিয়্যতে মিঠু। এবার দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী তিনি। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট থানা কমিটির ৪৯ জন সাক্ষর করেন, ৫ জন প্রয়াত, একজন প্রবাসী এবং এক জন নগর কমিটিতে চলে গেছেন। বাকি ১৫ জন নিয়েই অবার তিনি সভাপতির পদ বাগাতে চাইছেন। 

এ বিষয়ে একেএম মাসুদুজ্জামান মিঠু এই প্রতিবেদককে বলেন, দু-দুবার নির্বাচনের ফলাফল বাজেয়াপ্তোর বিষয়টি পুরোই ভিত্তিহীন।ব্যক্তিগত শক্রতার কারণেই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডাচালাচ্ছে শক্ররা। জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য লোকদের পদ দেন যোগ্য না হলে বিগত সময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকতাম না।

এছাড়াও তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কখনো অনাস্থা করে আবেদন করতে পারে না যারা অনাস্থা প্রদান করেছেন এরা নিশ্চয়ই বিএনপি ৩৯;র আস্থাভাজন লোকজন। তথ্য বলছে ঢাকা-১৮ আসনের ৮ টি থানায় মোট ভোটারসংখা প্রায় ৫ লাখ ৭০ হাজার।

এর মধ্যে দক্ষিনখানেই রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ভোট। মুলত এই থানাটি এই আসনের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ভুল মানুষকে এই থানার দায়িত্ব দিলে আসন্ন নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবির শঙ্কা রয়েছে বলেও মন্তব্যকরেছেন নেতারা
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া